চেহেল কাফ আমল সিরিজের এই সপ্তম পর্বে আমরা শিখব মুদাব্বিরদের শক্তিশালী হাতিয়ার চেহেল কাফ ব্যবহার করে কীভাবে বশীকরণ (মহব্বত বা ভালোবাসা সৃষ্টি) এর মতো কাজ করা যায়। এই আমলটির জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন, কারণ চেহেল কাফের মুয়াক্কিলদের মাধ্যমে সম্পাদিত বশীকরণ কাজগুলো অত্যন্ত দ্রুত ও অকাট্য হয়ে থাকে।
বশীকরণ আমলের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কমানো, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা, বা যেকোনো দু’জন ব্যক্তির মধ্যে মহব্বত সৃষ্টি করা যায়।
বশীকরণ করার বিশেষ আমল
এই আমল শুরু করার আগে অবশ্যই চেহেল কাফের আমিল হওয়া জরুরি। আমিল না হয়ে এই কাজ করা যাবে না। আমিল হওয়ার নিয়ম পূর্বের পর্বগুলিতে আলোচনা করা হয়েছে।
আমল করার নিয়মাবলী:
- সময়: যে ব্যক্তির জন্য আমলটি করবেন, তার মেজাজ অনুযায়ী সময় নির্বাচন করতে পারেন। অথবা, যেকোনো শনিবার দিন এশার নামাজ আদায় করার পর এই আমলটি শুরু করতে পারেন।
- উপকরণ: একটি সাদা কাগজ নিন।
- লেখার প্রস্তুতি: লেখা শুরু করার আগে প্রথমে ১১ বার ইস্তেগফার এবং ১১ বার দরুদ শরীফ পড়ুন।
- নকশা তৈরি:
- সম্পূর্ণ চেহেল কাফ টি জাফরান কালি (Zafran Kali) দিয়ে সাদা কাগজে লিখুন।
- চেহেল কাফের লেখার ঠিক নিচে সেই দুই ব্যক্তির নাম লিখুন, যাদের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টি করতে চান।
- নামের নিচে স্পষ্টভাবে আপনার উদ্দেশ্যটি বাংলায় লিখে দিন। যেমন: “এই ব্যক্তির সাথে এই ব্যক্তির মহব্বত ও ভালোবাসা সৃষ্টি হোক” অথবা “অমুক নারী দ্রুত এখানে হাজির হোক, হাজির হোক, হাজির হোক।”
- ফোল্ড করা: লেখা শেষ হলে কাগজটি ভাঁজ (Fold) করুন।
- প্রয়োগের স্থান:
- যদি ব্যক্তি কাছাকাছি থাকে: ভাঁজ করা তাবিজটি তার চলার পথে বা রাস্তার মধ্যে পুঁতে দিন।
- যদি ব্যক্তি দূরে থাকে: ভাঁজ করা তাবিজটি নিয়ে কোনো নদীর মধ্যে ভাসিয়ে দিন (ছেড়ে দিন)।
ফলাফল:
চেহেল কাফের শক্তিশালী মুয়াক্কিল হুজুরগণ এই আমলের মাধ্যমে খুব দ্রুত কাজ করেন। এই বশীকরণের কাজটি খুবই তাড়াতাড়ি এবং অত্যন্ত কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়। আশা করা যায় সাত দিনের মধ্যে বা তার কিছুটা বেশি সময়ের মধ্যে আপনি এর ফলাফল দেখতে পাবেন।
ভিডিওটি দেখুন
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=XxX0OXycoc0
পরবর্তী পর্বে চেহেল কাফ এর অন্যান্য ব্যবহার ও উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।